আজিজুর রহমান জয়, ডেক্স রিপোর্ট :
কিছুতেই থামছে না হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মনগড়া বিদ্যুৎ বিল। এ যেন নিয়ন্ত্রণহীন পাগলা ঘোড়া। অতিরিক্ত এই বিলের কারণে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্ধকার দূর করার নামে গঠিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যেন সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করার কারিগর হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে থাকা অনেক গ্রাহকের নামে আগস্ট মাসে ভুতুড়ে বিল এসেছে। নিয়মিত আসা বিদ্যুৎ বিলের দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনেকেই বিদ্যুৎ অফিসে দ্বারস্থ হচ্ছেন।
তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বলছে, গত মাসে গরম থাকার কারণে এমন বিদ্যুৎ বিল এসেছে।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ ভৌগোলিক এরিয়ায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ৪টি উপজেলায় ২৪টি চা বাগান, সরকারি- বেসরকারি অফিস, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে।
জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ মজুমদার নামে এক গ্রাহক বলেন, আমার প্রতিবেশির মিটারে ১২২০ ইউনিট দেখা গেল। বিদ্যুৎ বিলে দেখা যায় ১৩০০ ইউনিটের। এভাবে বেশি বেশি লিখে দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া বলেন, প্রতি মাসে ৬শ থেকে ৮শ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে । অথচ আগস্ট মাসে ১ হাজার ৬শ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।
নির্মল কানু নামে একজন বলেন, আগের মাসে ২শ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এ মাসে ১ হাজার টাকা বিল এসেছে।
বিশাল গুপ্তা নামে আরেকজন গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল কম আসবে বলে বাসায় দু’টি মিটার লাগিয়েছি। এখন দেখা যায়, আগের চেয়ে আরও বেশি বিল আসে।
অধিকাংশ গ্রাহক বলছেন হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু অসাধু কর্মচারী তাদের মনগড়া বিল দিয়ে সর্বশ্রান্ নিরীহ সাধারণ মানুষকে। প্রতিকার চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছে কর্মকর্তারা। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছে নিম্ন আয়ের লোকজন।