আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে দীর্ঘ দিন যাবত,ফেইসবুকের ফেইক আইডির ছড়াছড়ি ছিল। ফেইসবুকের ফেইক আইডির পোস্ট কে কেন্দ্র করে ২ঘন্টা ব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক ও একাধিক দোকান ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ আহমেদ খেলু মিয়া ও শাহানুর মিয়া ও বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে ফেইক আইডি খোলে হেনস্থা কর পোস্ট করে আসছে এক দল ক্রুচক্রী মহল। এরই সূত্রপাতে, গত ৩১শে আগষ্ট শনিবার রাতে জনির চাচাত ভাই সাগর মিয়া ও বাজার হাটির আলী নেওয়াজ মিয়ার ছেলে আশরাফুল মিয়া নাকি এই ফেইক আইডি চালায় বলে সন্দেহ করে এবং শাহানুরের দলে প্রমান পায় বলে জানান। আলী নেওয়াজ মিয়ার ছেলের সঠিক প্রমান না পাওয়ায় আশরাফুলের বিষয়টি রাতেই শেষ হয়ে যায়।অপরপক্ষও ফেইসবুকে ফেইক আইডির পোস্ট অস্বীকার করে, এবং বিচার শালিসের মাধ্যমে সমাধান হয়নি। এই নিয়ে গত ৩১ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ঘটিকা পর্যন্ত হট্টগোল চলে ও সারা এলাকায় থমথমে বিরাজ করে। এরই জেরধরে, ১সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে আনুমানিক
৬:৩০ মিনিটে জলসুখা শঙ্খমহল গ্রামের আওলাদ মিয়ার পুত্র জনি মিয়া( ৩২) ও ইছবপুর প্রামের রেজ্বেক উল্লাহ পুত্র শাহানুর মিয়া (৪৫) দলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এই দুই দলে দুই ঘন্টা সময় সংঘর্ষ চলে এতে শতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন শাহানুরে লোকজন একাধিক দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। একজন মৃত্যু আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন,আজমিরীগঞ্জ জলসুখায় মারামারি ঘটনায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেছে, তবে এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোঃ আশিকুর রহমান আজমিরীগঞ্জ থেকে
মোবাইল ০১৭১৭৯৭৩০৯৯