দুঃসময়ে যারা দলের হাল ধরেছে কেন্দ্রের নিদর্শনা প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে প্রকাশ্যে দলের নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছে আজ তারাই হচ্ছে বঞ্চিত। হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে তিগীরা।
খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে,বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা ঘরে বসে ছিল,তাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটির কোন সদস্যই বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল না। অনেকেই দলীয় রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন।
শুধু তাই নয়,বিগত ২০২৪ সালের ৭ ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল,ডামি প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হকের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় আরো অনেককেই ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সামসুল ইসলাম কামালকে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। যা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের নামান্তর।ওনাকে আবার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়াতে দলের তৃণমূল কর্মীরা যারা বিগত আন্দোলন,সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মাঝে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সহ সভাপতি পারভেজ হোসেন চৌধুরীও ব্যারিস্টার সুমনের নির্বাচনে সক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে,সহসভাপতি বাবু তো নির্বাচনের মাঠে বক্তৃতা করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।আরেক সহসভাপতি খোরশেদ আলম প্রকাশ্য নৌকার পক্ষে ভোট ছেয়ে বক্তৃতা করেছে, যা বিগত সময়ে স্থানীয় পত্রপত্রিকাসহ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়াও ১০ নং সহ সভাপতি শহিদ মিয়া মেম্বারকে সুমনের প্রচার প্রচারনার দায়ে থানা ও জেলা কমিটির নির্দেশে বহিস্কার করা হয় -এবং অদ্যবধি পর্যন্ত উক্ত বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি তিনি নিজেও এই কমিটির সহসভাপতি।
এই কমিটির আরেক সি:সহসভাপতি অলিউর রহমানের ছেলে মোস্তফা কামাল বাবুলকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।সেই হিসেবে সবার প্রশ্ন বাবা-ছেলে একই কমিটিতে ভাইটাল পোস্ট পায় কি করে!
তাছাড়া এক নির্বাহী সদস্যর ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নৌকা মার্কার পোস্টার শেয়ার করে ভোট ছেয়েছেন।এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই কমিটির প্রায় সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে।এমন লোককেও পদপদবী দেওয়া হয়েছে, যারা ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্য রাখেন না।
এমন সেচ্ছাচারিতা এবং স্বজনপ্রীতিমুলক কমিটি অচিরেই বিলুপ্ত করে ত্যাগি এবং দলের প্রতি আন্তরিক লোকদের দিয়ে কমিটি ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন দলের তৃণমূল ত্যাগী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।