উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা এম ফয়সাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম ফয়সাল। তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসব চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে, পৌর শহরের পূজামণ্ডপগুলো সিসি ক্যামেরা আওতায় নিয়ে আসা হবে। পূজামণ্ডপগুলোতে কড়া নজরদারি ও বিদ্যুতের যেন ঘাটতি না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান আকাশ তার বক্তব্যে বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। এই টহল আরও জোরদার করা হবে। কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে, ভুয়া তথ্য দিয়ে যেন কেউ কাউকে বিভ্রান্ত করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সভায় বলেন, আমরা প্রতিটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। সন্ধ্যার পরে লোডশেডিং হলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে আগাম বার্তা দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। প্রতিমা বিসর্জনের সময় লাইফ জ্যাকেট প্রদানের কথা বলেন। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভিজিটিং বই প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।
মাধবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের উপজেলায় পূজাকে কেন্দ্র করে কখনই কোন অঘটন ঘটেনি এবারেও ঘটবে না। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে অন্যান্য সম্প্রদায় মিলেমিশে উৎসব পালন করে। উক্ত সভায় মোবাইলে গুজব না ছাড়ানোর জন্য পৌর কমিটির সভাপতি শংকর পাল সুমন সবাইকে অনুরোধ জানান। বক্তব্য রাখেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির, সাংবাদিক জুলহাজ উদ্দিন রিঙ্কু ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি ও মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান জয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত উপজেলার বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন।