দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তার প্রতিবাদে এবং ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ জনতা।
এ সময় ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিল আরএস মাছুম, টি-আর রিয়াজ, শামসুল ইসলাম বাবুল, জামিল, সিরাজুল ইসলাম তানজিল, সৈয়দ মাহাদী, টিপু, রিফাত, জীবন, তামিম, সাইফুল ও সোহেল প্রমুখ।
সোমবার ১০ মার্চ সকাল সাড়ে দশটায উপজেলা পরিষদ থেকে মহাসড়ক প্রতিক্ষণ করে মাধবপুর বাজার ঘুরে এসে উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল শেষে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এসময় মহাসড়কে যান চলাচল যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ বিন কাসেম এসে মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করার পর তারা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়।
এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিল ফাহিমা আক্তার স্বর্ণা, আউলিয়া আক্তার লিপি, নাহিদা আক্তার তানজিনা, হাবিবা ইসলাম পুষ্প, সুমাইয়া আক্তার, শাহিদা আক্তার নোহা, তামান্না আক্তার, আকলিমা আক্তার, ইসরাত জাহান, আয়াত ইবনে শারমিন, নুসরাত জাহান তারিন, মরিয়ম আক্তার, শারমিন আক্তার, রুনা আক্তার, কানিজ ফাতিমা ঝর্ণা তাবাসসুম, মাইশা ভূঁইয়া, নুসরাত জাহান তারিন, মুন্নি, সুলতানা জাহান, মৌসুমী আক্তার বৃষ্টি ও অন্যান্যরা।
এ দিকে মানববন্ধনে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন মাধবপুর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার চৌধুরী। তিনি বলেন, শুধু আছিয়া নয় যেখানেই ধর্ষকদের পাওয়া যায় তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এনে ফাঁসি দেয়া হোক।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, মাধবপুর উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশের যেখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে আমরা এর প্রতিবাদ জানাবো। তারা আরো বলেন ধর্ষণকারী যেন জামিল সুবিধা না পায় এবং ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।