জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে ঘরে বসেই পাউডার পানি ও কেমিকেল দিয়ে প্রতিদিন শত শত লিটার গরুর দুধ তৈরি করা হচ্ছে। এই ভেজাল দুধ অর্ধ পূর্ণ ড্রামে করে বাজারে নিয়ে আসছে এবং সেই ভেজাল দুধের সাথে সমপরিমাণ খাঁটি দুধের মিশ্রণ ঘটিয়ে ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) যৌথভাবে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন সাটুরিয়া ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে নিজেদের প্রস্তুতকৃত ১৫০ লিটারের অধিক নকল দুধসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন মো. আতাউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ৫ থেকে ৬ বছর ধরে তিনি প্রতিদিন এই ভেজাল দুধ বিক্রি করে আসছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি ও উপস্থিত আলামতে নকল দুধের প্রমাণ পাওয়ায় আতাউর রহমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা। জব্দ করা প্রায় ১৫০ লিটার ভেজাল দুধ তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নিষিদ্ধ ও অবৈধ প্রসাধনী বিক্রি ও সংরক্ষণ করার দায়ে একটি কসমেটিকস প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সূত্র: সময়