এলভী কাজল: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডিজিটাল বাংলাদেশে যুব সমাজের বেকারত্বকে পুঁজি করে ভুয়া ট্রেনিং সেন্টারের রমরমা মেডিকেলের বিভিন্ন কোর্সের ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কারনে লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনলজি ট্রেনিং ইনিষ্টিউটকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন।
সোমবার(২৯ আগষ্ট) সকাল ১১টা থেকে ১ পর্যন্ত ফয়লা (কোলা রোডের) পশ্চিম পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারনে এ অর্থে দন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাজহারুল ইসলাম,কালীগঞ্জ থানার এসআই কাবিরুল ইসলাম,এএসআই তানবীর আহম্মেদ,স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ আনসার ও পুলিশ সদস্যরা।
২০১৪ সাল থেকে লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনলজি ট্রেনিং ইনিষ্টিউট পঁচিশ পদের সার্টিফিকেটর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার যুবকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কালীগঞ্জ শহরের নলডাঙ্গা রোডস্থ রেক্সনা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
এ সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত প্র্রতিষ্ঠানে কাগজপত্র ,শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা,মানি রিসিট,প্রশিক্ষকের নিয়োগ ও তালিকা দেখাতে পারেননি।পরিচালক বিশ্বাস রাজীব কিশোর ও তার স্ত্রী ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে অসৈজন্যমূলক আচরন করেন। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যনার,ফেস্টুনসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এ ধরনের ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট কিনে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি উঠেছে সর্বমহলে। তাই এই ধরনের ভুয়া প্রতিষ্ঠান শুধু অর্থদন্ডে দন্ডিত না করে সিলগালা করে চিরতরে বন্ধ করা হোক।
ঝিনাইদহ/কালিগঞ্জ/সনদ বিক্রি