কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ফল সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। পুষ্টিকর ও মিষ্ট এই ফল মরুর অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। মরুর এই ফল দেখতে ও কিনতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
জানা যায়, মালচিং সিটের ভেতর চারা লাগিয়ে গাছ মাচায় তুলে দেওয়া হয়। ছোট-বড় সব ফলকে নেটে বেধে রাখা হয়েছে। পাকা সাম্মামের ঘ্রান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্মাম দেখতে অনেকটা তরমুজের মতো। তবে এর ঘ্রান বাঙ্গির মতো। উপরটা ধূসর আর ভিতরটা হলুদ রঙের। একেকটি সাম্মাম ৩ কেজি বা তারও বেশি ওজনের হয়।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করছি। চারা লাগানোর পর ফল আসতে ৯০ দিন সময় লাগে। ফলটি খুবই মিষ্টি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি শুরু করেছি। আশা করছি ৩ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মনির হোসেন বলেন, অনলাইনে মরুর এই ফলটি অনেক দেখেছি। শুনেছি ফলটি খেতে খুবই মিষ্টি। কিন্তু কখনো খেয়ে দেখিনি। তাই ফলটি কিনতে এসেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাম্মাম মরু অঞ্চলের ফল। এতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। মরু অঞ্চলে এটাকে সাম্মাম বলে। কেউ আবার এটাকে রকমেলন বা সুইটমেলনও বলে। আমাদের দেশে এর চাষ নেই বললেই চলে। আনোয়ার হোসেন একজন উদ্যোমী চাষি। তিনি এর আগে কালো ও হলুদ তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছিলেন। কৃষি বিভাগ তাকে সব ধরনের সহযোগীতা করবে।