আজ ১৮ (সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে স্থানীয় পাখি প্রেমিক সোসাইটির সার্বিক তথ্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দিনভর হবিগঞ্জ জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী নেতৃত্বে জিয়াউল হক রাজু, রানা আহামদ, অনুরঞ্জন দেব, টিপলু দেব সঙ্গে ছিলেন।
তাছাড়া রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ হবিগঞ্জের পক্ষে বন বিভাগকে সহযোগিতা করেন ডিএডি নুরুল ইসলাম, এস আই ত্রিপন, লেন্স নায়েক হাসান আলি, বেলাল ও আলমগীর প্রমুখ।
এ সময় মাধবপুরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির উপদেষ্টা ও এশিয়ান টিভির মাধবপুর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান জয়, সভাপতি মুজাহিদ মুসি, হৃদয় এসএম শাহ আলম, স্বেচ্ছাসেবক কাইয়ুম মিয়া ও বিশ্বজিৎ পাল উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সারাদিন ব্যাপী বন বিভাগের তথ্য অভিযানে ৪টি ঘুঘু, ২টি ডাহুক,১টি বালি হাঁস, জাল, ফাঁদ, খাঁচা ও পাখি শিকারে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে পটাশ, বিষটুপ শিকারি চক্রের মূল হোতা ও সদস্যগণ তাদের অপরাধ রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর নিকট প্রকাশ্যে ক্ষমা ও অপরাধ শিকার করে আত্মসমর্পণ মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। প্রাথমিকভাবে তিনি তাদের ক্ষমা করে বলেন, পৃথিবীকে আগামী ভবিষ্যতের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য অব্যাহত রাখার জন্য এখনই পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে।তিনি পাখি শিকার বন্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান।
হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী “দৈনিক চলমান দেশ”কে জানান, পাখি সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বনবিভাগের অত্র অভিযান একটি রুটিন কাজের অংশ। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।