সৎ মায়ের নিষ্ঠুর আচরণ, অবহেলা, অযত্ন জীবনে ভালোবাসা হীন নিষ্ঠুরতম অপমানের গ্লানি তাকে পরপারে নিয়ে যেতে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছে। এতে তার এর ধরার জগতের মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ওই পারে সে প্রাণবন্ত, মুক্ত আলো বাতাসে ঘুরে বেড়াবে স্বাধীনতার ছোঁয়া নিয়ে। এপারের যে গ্লানি তাকে মুক্ত করে নিয়ে গেল সে তো তার দীর্ঘ নিঃশ্বাসেই বহিঃপ্রকাশ।
এর আগে বুধবার বিকেলে মাধবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক শাহজিবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোয়ার্টার গোমতি বিল্ডিংয়ে স্টাফ আলী আকবরের বাসার একটি কক্ষ থেকে ৫ মাস যাবত অবরুদ্ধ থাকা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। সামান্য জ্বর হওয়ার অজুহাতে ১৮ বছরের ওই মেয়েকে বিনা চিকিৎসায় একটি কক্ষের ভিতরে অনাহারে বা মাঝেমধ্যে সামান্য খাবার দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ পিতা আলী আকবর ও তার সৎ মা’র বিরুদ্ধে। সেবা যত্ন না থাকায় ফাহমিদার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে ডাক্তার সাবরীনা সুলতানা জানিয়েছিলেন।
মেয়েকে পরপুরুষ দেখে ফেলবে এই জন্য চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে ঘরে রেখে চিকিৎসা করানোর কথা জানিয়েছেন ফাহমিদার বাবা আলী আকবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন,আ ফাহমিদার বাবা আলী আকবর একাধিক বিয়ে করেছে এবং সৎ মা ছিল পুরোপুরি উদাসীন। কোন খবরই নিত না ফাহমিদার। মাধবপুর থানার ওসি এই অমানবিকতার খবর পেয়ে চিকিৎসক ডাঃ সাবরিনা সুলতানাসহ ওই বাসায় উপস্থিত হয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে এম্বুল্যান্স এনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি জানার পরপরই তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে যাই। তাই উদ্ধার করেও শেষ রক্ষা করতে পারিনি। মৃত্যু তাকে মুক্তি দিয়েছে বলে বিশ্বাস করি।