পরে ছিনতাইকারীর স্বীকারোক্তিতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলো বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের কালিদাস টেকা গ্রামের লেচু মিয়ার পুত্র সাকিল মিয়া(১৯)ও একই এলাকার হোসেন আলীর পুত্র মহিবুর রহমান(২৮)।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়,গত ১০অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলা সদরের স্হানীয় বড়বাজারের শহীদ মিনারের সামন থেকে সন্ধ্যার দিকে এক ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে কালিদাসটেকা যাবার কথা বলে একটি মিশুক গাড়ি নিয়ে যায়।
পূর্ব পরিকল্পিত অন্যান্য ছিনতাইকারী কালিদাসটেকা ব্রীজের পাশে অপেক্ষায় ছিলো।
এদিকে মিশুক চালক কালিদাসটেকা ব্রীজের কাছে পৌঁছা মাত্রই গাড়িতে থাকা ছিনতাইকারী ও অপেক্ষারত সহযোগীরা মিলে চালককে গাড়ি থেকে বেধে ফেলে এবং রাস্তার পাশে একটি হাওরের জমিতে নিয়ে মারপিট করে সেখানেই মৃত মনে করে মিশুক গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর চালক নিজেই কোন রকম বাঁধা অবস্থা থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করে চিকিৎসা নেয় চালক।
তাৎক্ষণিক বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেবের নির্দেশে এসআই ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন পুলিশ ছিনতাইকারী গ্রেফতার ও গাড়ি উদ্ধারে মাঠে নামেন।
এবং বিভিন্ন স্হানে অভিযান পরিচালনা করা সময়ে রাত প্রায় দুইটার দিকে গুনই গ্রামের ফকির বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে মিশুক গাড়িটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
কিন্তু ছিনতাইকারী গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন ক্লু উদঘাটন করতে থাকে পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭অক্টোবর বৃহস্পতিবার এসআই ওমর ফারুক মিশুক গাড়ির একটি নেকড়া কাপড়ের সূত্র ধরে হাওরের পানিতে মাছ মারার পন্থা অবলম্বন করে মূল ছিনতাইকারী সাকিলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
পরে ঘটনার সম্পর্কে সাকিল স্বীকারোক্তি করলে ১৬৪ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহন করা হয়।
এবং সাকিলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে গতকাল ২৮অক্টোবর ওসি অজয় দেবের নির্দেশে এসআই ওমর ফারুক,এএসআই সাদ্দাম হুসেনসহ একদল পুলিশ গভীর রাত ১টার দিকে কালিদাসটেকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মহিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেন।
পরে এই মিশুক গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনার মামলায় দুই ছিনতাইকারীকে ২৯অক্টোবর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেব সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বানিয়াচংবাসীকে সেবা নিশ্চিতে দিন-রাত তিনিসহ তার পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছেন।
এমনকি বানিয়াচংয়ের সকল ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
বানিয়াচংয়ের আইনশৃঙ্খলা শান্তিময় করার লক্ষ্য নিয়ে সবদিকে নজরদারি রেখে কাজ করে চলছেন।
এছাড়াও তিনি বানিয়াচংয়ের সচেতন নাগরিক সমাজের কাছে পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করারও আহবান করেন।