রোববার (৬ নভেম্বর) নবম ওয়েজ বোর্ডে মন্ত্রিসভা কমিটির দুটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কাজী আখতার হামিদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দিদারুল আলম দিদার।
পরে দিদারুল আলম দিদার জানান, নবম ওয়েজ বোর্ড অনুসারে সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং সংবাদমাধ্যম অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আয়কর দেবেন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
আয়কর এবং গ্র্যাচুইটির বিষয়ে মন্ত্রিসভার কমিটির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। পাশাপাশি বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি নবম ওয়েজ বোর্ডে যে সুপারিশ করেছে, তা বহাল থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আইনজীবী জানান, ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছে, তার শেষে মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়। শর্তের মধ্যে ছিল সাংবাদিকরা নিজেদের আয়কর দেবেন। গ্র্যাচুইটি দুটির স্থলে একটি পাবেন।
মন্ত্রিসভার এই শর্তের বিধান চ্যালেঞ্জ করে বাসস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহবুবুজ্জামান ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।