আজ তা বিলুপ্তির পথে। ভারত উপমহাদেশ ব্যাপি এই খেজুরের গাছের গুড় ও রস ছিলো সর্বজন সমাদৃত। শীতের আগমনে গাছিরা ব্যাস্ত হয়ে পড়তো।এখন তেমন একটা দেখা যায় না।সে কালে গাছিরা যখন খেজুর গাছ রস সংগ্রহে জন্য গাছ তুলতো তখন ছোট সোনা বাবু গাছির পিছনে ঘুরঘুর করতো।খেজুর গাছের চুমরী খাওয়ার জন্য ও গাছের লাল শরফা জন্য। এই শরফা পুড়িয়ে কচু পাতার বেধে সন্ধ্যায় বাজি ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করতো।এখন আর এই উৎস দেখা যায় না।
অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় গাছ থেকে গাছিরা রস নামানো শুরু করে। এখন গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে নতুন ধানের চাউল দিয়ে খেজুরের রসের পায়েশ রান্না দুধ চিতই পরিবেশন করতো।তা আজ আর হয় না।অবৈধ ইট ভাটার গহুরে।তাই এই প্রকৃতির সম্পদ বিলীনের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের অগ্রগতি ভূমিকা পালন করতে হবে।
কালাই উপজেলা এলাকার গাছিরা খাদেমুল ফকির আসাদুল, সামিউল ফকির, সহ ৮/১০ জন গাছির সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদনকে বলেন আমরা খেজুরের রস ও গুড় তৈরীর কাজ ছেড়ে দেওয়ার পথে। কারণ আগে খেজুরের বাগান ছিলো। প্রতি বাগানের ১/২শত গাছ থাকতো অতি সহজে গাছ বোদে রস ও গুড় তৈরী করতে সহজ হতো,কিন্তু এখন তা হয় না।এক গাছ থেকে আরেক গাছের দুরত্ব প্রায় ৩/৪শত হা দুরত্ব। তাছাড়া ইট ভাটায় প্রতি বছর লাখ লাখ গাছ কেটে ইট পোড়ানো হচ্ছে।যার কারণে গাছের ও শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে ।
এমন চলতে থাকলে কোন এক সময় খেজুর গাছ বিলীন হয়ে যাবে। সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে খেজুর গাছ আমাদের দেশ থেকে বিলীন হবে না। আমরা আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা করতে পারবো বলে মনে করি।