সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই শিশু পার্ককে কয়েকজন শিশু রাইডগুলোয় চড়ছে এবং খেলাধুলা করছে । এ সময় রোগী সাথে আসা এক নারী সঙ্গে নিয়ে আসা তার মেয়েকে রাইডে চড়তে পাঠিয়ে রোগীর কাছে যেতে দেখা গেলো।
শিশু পার্ককে খেলাধুলারত হাবিবা (৮) বলে, আমি আম্মুর সঙ্গে দাদুকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। দাদুর পায়ে অসুখ। আম্মু দাদুর কাছে বসে আছে আর আমি খেলছি। রাইডে চড়ে আমার খুব ভালো লাগছে।
চার দিন ধরে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা শিশু সজীব হোসেন (৫) বলে, যখন ইচ্ছা শিশু পার্ক ভেতরে ঢুকে খেলাধুলা করতে পারছি এতে ভালো লাগছে আমার।
পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের বৃদ্ধ খলিলুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। শিশুরা আমার সামনে খেলাধুলা করছে এ দৃশ্য দেখতেই অনেক ভালো লাগছে।
হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা ফারজানা শারমিন বলেন, আগে হাসপাতালে রোগী দেখতে এলে বাচ্চাদের নিয়ে টেনশনে থাকতে হতো। তার উপর বাচ্চারা।
এলোমেলো ঘুরাঘুরি করতো এবং অন্য বাচ্চাদের সাথে মারামারি করতো। শিশু পার্কটি হওয়ায় একদিকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে অন্যদিকে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা হয়েচ্ছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
জয়পুরহাট একুশে আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি রাজা চৌধুরী বলেন, এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, রোগীর স্বজনের সঙ্গে আসা শিশুরা ওয়ার্ডের ভেতরে ঘোরাঘুরি করে। এ কারণে ওয়ার্ডে ফাঁকা জায়গায় গ্রিল দিয়ে ঘিরে শিশুদের জন্য কর্নার করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাঘুরি না করে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতে পারে।