সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার শিশু তাদের জীবন হারিয়েছে। অনেক শিশু প্রতিরোধযোগ্য রোগ বা অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।’
এই মানবিক বিপর্যয়ের তথ্য তুলে ধরে ইউনিসেফ বলছে, প্রায় ২২ লাখ ইয়েমেনি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের এক-চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। বেশিরভাগই কলেরা, হাম ও অন্যান্য ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য রোগের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইসময়ে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দ্রুত রাজধানী সানা দখল করে নেয়। যুদ্ধের কারণে বা পরোক্ষভাবে অনিরাপদ পানি, রোগের প্রাদুর্ভাব, ক্ষুধা ও অন্যান্য প্রভাবের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।
এজেন্সির সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৭৭৪ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি ২ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধরত পক্ষগুলি তখন একটি বর্ধিতকরণে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছিল।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ আরও বলেছে, কয়েক বছর ধরে যুদ্ধে ৩ হাজার ৯০৪ জন যুবককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ নারীকে চেকপয়েন্টের কাজ দেওয়া হয়েছে। ইউনিসেফ মানবিক সংকট মোকাবেলায় ৪৮৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের জন্য আবেদন করেছে।
যদি ইয়েমেনের শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের সুযোগ পেতে হয়, সে নিশ্চয়তা প্রভাবশালী মহলকে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল।