বাংলাদেশের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এবং বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক মির্জা মেহেদী সারোয়ার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ বিশ্বের নানা প্রজাতির পাখিদের বিষয়ে সম্মুখ ধারণা প্রদান করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল চৌধুরী। তিনি বলেন, বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ আমাদের মাঝে বন ও বন্যপ্রাণীদের প্রতি কি ধরনের আচরণ করা হবে তার এক সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী। ইতিপূর্বে হবিগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রকার বন্যপ্রাণী জব্দ করে তাদেরকে নিজ আবাসস্থলে ফিরিয়ে দিয়ে বেশ প্রশংসা অর্জন করেন তিনি। তার সুদক্ষ নেতৃত্বর কারণে হবিগঞ্জের প্রতিটি উপজেলার মানুষের মাঝে পাখি ও বন্যপ্রাণীদের বিষয়ে এক সচেতনতা তৈরি হয়েছে।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জুনাইদ আহমেদ এবং গীতা পাঠ করেন রূপক দেবনাথ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, এশিয়ান টিভির মাধবপুর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান জয়। তিনি বলেন ১০ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া বন ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীর আজকের এই মেসেজ ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক খোয়াই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বাহার উদ্দিন ও হবিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম খোকন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে মানুষের ন্যায় প্রানীকূলের ও মৌলিক অধিকার খাদ্য ও বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে সম্মুখ ধারণা দেওয়া হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।প্রশিক্ষণে ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশ নিয়েছিল।
প্রশিক্ষণ টি টানা ১০ দিন প্রশিক্ষনার্থীদেরকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পরিচর্যা, তাদের নিজ আবাসস্থল নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করার চেষ্টা করা হয়।