রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল এর মধ্যে অন্যতম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম দৈনিক চলমান দেশ ডট কম এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহ বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা সহ স্কুল, কলেজ থেকে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী মহিলা ও পুরুষ গনকে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।  ফোন : ০১৭১৭-৭২৩৭৪২,০১৯১৭-১০২০৮৬। দৈনিক চলমান দেশের সাথে থাকুন পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন। যোগাযোগ : 01717-723742

মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার নামে সরকারি বন্দোবস্তের জায়গা ক্রয় করে হেনস্থার শিকার একটি পরিবার

অনলাইন নিউজ ডেস্ক::
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬০ বার পঠিত

মো: আলফাজ মিয়া: মাধবপুর প্রতিনিধি

মাধবপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আলীর নামে সরকার থেকে বরাদ্ধ দেওয়া ৫৪ শতাংশ খাস জমি বিক্রীর পর এখন তার সন্তানেরা বিক্রীর ঘটনা অস্বীকার করে জমির ক্রেতা বাবুল হোসেন গংকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

জমির পজিশন কিনে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া হতদরিদ্র বাবুল মিয়া এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবরে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে মাধবপুর উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের নুর আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আলীকে সরকারের পক্ষ থেকে ১৬৫/৯৯ -০০ বন্দোবস্ত নথির গ্রহীতা হিসাবে ৫০৭৯ নম্বর দলিলমুলে ২০০১ সালের ২৫ জুন তারিখে ৩৩০,৩৩২ ও ৩৩৩ দাগে ২০,১৭ ও ১৭ শতাংশ হিসাবে ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত মোট ৫৪ শতাংশ খাস জমি বরাদ্ধ দেওয়া হয়।বরাদ্ধকৃত জমি উপজেলা ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার মাপজোক করে খুঁটি দিয়ে চিহ্নিত করণ শেষে ঢোল সহরতের মাধ্যমে ছিদ্দিক আলীকে সমজিয়ে দেয়।ছিদ্দিক আলী ২০০২ সালের জানুয়ারী মাসে উক্ত জমির দখলস্বত্ব পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ খানের ছেলে হিরণ খানের কাছে বিক্রী করে দিয়ে ‘দখল হস্তান্তর দলিল’ সম্পাদন করে দেন।হিরণ মিয়ার মৃত্যুর পর তার ছেলে সেলিম মিয়া বাবুল মিয়া গংদের কাছে এই জমি বিক্রী করেন।বাবুল মিয়া ও তার আত্মীয়স্বজন জমি ভরাট করে বসতঘর নির্মান করে বসবাস করছেন।বর্তমানে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আলীর ছেলে মর্তুজ আলী তার পিতা এ জমির মালিক দাবি করে বাবুল মিয়া গংদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে নচনাভাবে হয়রানী করছে।এ অবস্থায় বাবুল মিয়া গং গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।বাবুল মিয়া জানান,তারা খুবই গরীব এবং অসহায়।আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থও তাদের নেই।এ জমি থেকে উচ্ছেদ করলে যাওয়ার জায়গা থাকবে না।
ছিদ্দিক আলীর ছেলে মর্তুজ আলী এ বঢাপারে কোন কথা বলতে চাননি।সদ্য যোগদানকারী ইউএনও মনজুর আহ্সান জানান,খাসের জায়গা হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই।বিক্রী করার তো প্রশ্নই উঠে না।তারপরও বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
দৈনিক চলমান দেশে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি-সম্পাদক।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com