কোমলমতি শিশু,শিক্ষক ও অভিভাভকদের দুঃখের বন্যা।
মুজাহিদ মসিঃ
মাধবপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে গত ১ জানুয়ারির প্রাথমিকের বিনামূল্যে সরকারি বই বিতরণ করা হলেও উপজেলার চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামের নিবন্ধিত ৩ কিন্ডারগার্টেন সিদ্দিক সর্দর স্কলার একাডেমি ইউনুস হাসান একাডেমি এবং আজিজুর রহমান স্কলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীসহ বিভিন্ন শ্রেনী শিক্ষার্থীদের বই প্রদান করা হয়নি। এর ফলে ৩টি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অভিভাবকদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।একাডেমির মালিকরা জানান, কিছু শিক্ষার্থী বই না পাওয়ার কারণে কিন্টারগার্ডেন ছেড়ে অন্যত্র ভর্তি হয়ে গেছে,ফলে তারা ক্ষতির সম্মখীন।
সিদ্দিক সর্দার স্কলার একাডেমিক প্রতিষ্ঠাতা ওসমান মিয়া জানান,আমাদেরকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য্য ইচ্ছাকৃতভাবে বই দেন নি। স্টকে অনেক বই ছিল। আমাদের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় করা হয়েছে।এখানে চক্রান্ত থাকলে থাকতে পারে।
আজিজুর রহমান স্কলার একাডেমীর প্রধান শিক্ষিকা পপি আক্তার জানান,হিসাবের ভুল কারণ দর্শিয়ে আমাদেরকে বই দেওয়া হয়নি।সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের সাথে উত্তেজনা প্রদর্শন করেছেন। ফলে কচি শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা এর প্রকৃত হেতু উদঘাটনের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।
মাধবপুরের সহকারী শিক্ষক শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য্য জানান,আমাদের বইয়ের সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে জেলা অফিস থেকে আমরা অর্ধেকের মতো বই কম পেয়েছি।তবে পার্শ্ববর্তী সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাহিদা কম দেয়ার গাফিলতি এদের কোনো গাফিলতি থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মাধবপুরের আরেকজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম,প্রায় ৪০% বইয়ের সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে।তবে কেন ৩ কিন্ডারগার্টেন একেবারেই বই পেল না বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
সংশ্লিষ্ট মাদার স্কুল কমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান,আমরা মাধবপুর শিক্ষা অফিসকে অনলাইনে কিছুদিন আগে চাহিদাপত্র দিয়েছি। আমাদের কোনো ভুল নেই ভুল করলে অফিস করেছে।