মো :মোকাররম হোসাইন
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা ১৫ বিঘা জমির আলু ও সরিষা ক্ষেত রাতের আঁধারে গভীর নলকুপ চালিয়ে পানি দিয়ে ডুবে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। থামড়া গ্রামের হাসনা বেগম এর মালিকানাধীন গভীর নলকূপ শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শত্রুতার জেরে গভীর নলকূপ চালু করে ওই স্কীমের প্রায় ১৫বিঘা জমির আলু ও সরিষা ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। কৃষকরা শ্যালো মেশিন ও অন্যান্যভাবে ফসল রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় থামড়া মাঠের ওই গভীর নলকূপের স্কীমভূক্ত বেলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, নাজিম উদ্দীন শেখ, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, শহীদ শেখ, ওয়াহেদ শেখ, আব্দুল মতিন, শেফালি বেগম, আরাম আলী শেখসহ প্রায় ১৫-২০ জন কৃষকের আলু ও সরিষা ক্ষেত গভীর নলকূপের পানিতে ডুবে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আরাম আলী বলেন, আমার প্রায় ৫০ শতক আলু ক্ষেতসহ অনেকের শরিষা ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে, এতে ১৫ বিঘা জমিতে প্রায় ১ হাজার ২শ মন আলু উৎপাদন হতো। এতে আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্যে ৮-১০ লাখ টাকর আলু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, গভীর নলকূপের মালিকে গাফুলতির কারণে আজ আমাদের এই ক্ষতি হয়েছে। রাতে তার গভীর নলকূপের যদি পাহারাদার থাকতে এমন ক্ষতি হতো না।
গভীর নলকূপ মালিক হাসনা বেগম এর স্বামী আহসান হাবীব বাবলু বলেন, শুক্রবার সারাদিন আলু ক্ষেত সেচ দিেেয় সন্ধ্যায় নলকূপের ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়িতে আসি। এমন সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা নলকূপ ঘরের দেয়ালের শুড়ঙ্গি দিয়ে লাঠি সাহায্যে গভীর নলকূপ মেইন সুইজ চালু করে ওই স্কীমের আলু ও সরিষা ক্ষেতসহ প্রায় ১৫ বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এ বিষয়ে কোন দপ্তরে এখন পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়নি।