বুধবার নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয় বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে সদর থানার চিনিশপুর পশ্চিম পাড়া বেলতলা এলাকায় ২০ বছর বয়সী ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার কুমিল্লা কলোনিতে বসবাসরত ওই নারী স্থানীয় একটি পাওয়ার লুমে কাজ করেন। এক সন্তানের জননী ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নরসিংদী শহরের বাসাইলের বাসিন্দা মিজান মিয়া আরিয়ান (২০), সাইফুল ইসলাম (২৪) এবং পলাশ থানার ধানইর চর এলাকার সোহেল মিয়া (২৪)।
ওই নারী জানান, মিজানের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করতে বেলতলা এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে মিজান ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে মাইক্রোবাসে ওঠায়।
মাইক্রোবাসে ওঠার পর তাকে বেঁধে ফেলে মিজান ও তার সহযোগীরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে ওই নারীর অভিযোগ।
ছাড়া পেয়ে নরসিংদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই নারী। তখন পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।
ইনামুল হক সাগর বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করি। প্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে মিজান ও সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।