জানা যায়, স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত। চারিদিকে ফসলের মাঠ বেষ্টিত ছোট্ট অবহেলিত একটি গ্রাম গাগড়া বাড়ি বিচ্ছিন্ন ছিল সর্বপ্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে। গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা যাতায়াতের অব্যবস্থার কারণে শিক্ষার আলো থেকে ছিল বঞ্চিত।
গ্রামের চারিদিকে ফসলের মাঠ থাকায় ফসলি জমির আইল দিয়ে অনেক কষ্ট করে গ্রামে যেতে হতো। শুধুমাত্র একটি রাস্তার অভাবে শিক্ষার আলো সহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। অবহেলা আর অযত্নে এক প্রকার কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল তাদের জীবনযাত্রা। বর্ষাকালে দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো: মাহবুব আলী (এমপি) মহোদয়ের নজরে রাস্তার বিষয়টি আসলে রাস্তাটির জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেন।
প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও ওয়ার্ড মেম্বারে আব্দুল হক এর তৎপরতায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দেখেছে আলোর মুখ । দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়ার অবসান ঘটিয়ে গ্রামের লোকজন ও এলাকাবাসী হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করায় দ্রুত সম্পন্ন হয় রাস্তার কাজ। আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গ্রামের লোকজন।
প্রথমদিকে কিছু লোকের বিরোধিতা থাকলেও রাস্তাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মাঝে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। গড়ে উঠতে যাচ্ছে স্কুল, বাজার হাট। বেড়ে গেছে ফসলের জমির দাম। কমে গেছে উপজেলা সদরের সাথে দূরত্ব।
উপজেলা সদরে ইষ্টিকুটুম বিরিয়ানি হাউজে বাবুর্চির কাজ করতে আসা জিয়াউর রহমান বলেন, এখন প্রতিদিন আমি বাড়ি থেকে এসেই কাজে যোগদান করতে পারি, তাতে আমার কোন সমস্যা হয় না।