মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের অহরহ দুর্ঘটনাজনিত অপমৃত্যু রোধে দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন করলো রেল মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা বিশেষ করে ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ওই উদ্যানের ভিতর দিয়ে চলা ট্রেনের গতি ২০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত বাস্থবায়ন হাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রাণী সংস্লিষ্ট সচেতন মহল।
জানা যায়,বিগত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ রেল মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকে উপসচিব তৌফিক এলাহীর করা স্বাক্ষরিত একটি আদেশের মাধ্যমের ওই বনে ট্রেনের গতি কমানো সিদ্ধান্ত হয়।ট্রেনের গতি হ্রাস ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে রেলপথ ও বন বিভাগ উভয়ে।
ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা আজ বাস্তবায়নের ফলে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্রের বিকাশ সাধন হবে। তিনি রেলপথ মনন্ত্রনালয়ের সংস্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আরো উল্লেখ করে বলেন এর আগে বন বিভাগ ২ মার্চ ২০২৩ লাউয়াছড়ায় বন্যপ্রাণীর দুর্ঘটনা রোধে সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন ও খাদ্যের চাহিদা মেটানোর তাগিদে ইতিমধ্যে ১৫০ একর জমিতে খাবার উপযোগী বাগানে আমলকি, চাপালিস, ডুমুর, মান্দার, শিমুল, হরিতকি, বহড়া ও জাম গাছ লাগানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা এগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, ফলে অচিরেই খাদ্যের ঘাটতি দূরীভূত হবে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হবিগঞ্জ প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সোসাইটির আহ্বায়ক আজিজুর রহমান জয় পর্যটকদের অনুরোধ করে বলেন আপনারা বন্যপ্রাণীদের বাহিরের খাবারখা খাওয়াবেন না, এতে তাদের খাবারে রুচির পরিবর্তন হতে পারে ও বনের খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।