মোঃ মোকাররম হোসাইন
কালাই উপজেলা প্রতিনিধিঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এর দিনটিকে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে সকাল ১১:০০ টা থেকে দুপুর ০১.০০ পর্যন্ত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্যে দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মিনফুজুর রহমান মিলন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন। আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।
বিকাল ৪ টায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভায় মো: ফজলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন এর সভাপতিত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের গুরুত্ব ও অন্তঃনিহিত তাৎপর্যের উপর মূল আলোচক ও প্রধান অতিথি ছিলেন জয়পুরহাট ০২ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। এছাড়াও,বিশেষ অতিথি হিসাবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন মো:আরিফুর রহমান রকেট সভাপতি জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ,মো:জাকির হোসেন মন্ডল সাধারণ সম্পাদক জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ এর দিনটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন,
৫০ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’সরকার ঘোষিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্যাপনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ,চেতনা বিকশিত করার আহবান জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।