মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন : লাগাই থেকে
লাখাইয়ে বিরুধীয় জমিতে ধান কাটা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১৫ জন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় লাখাই উপজেলার মকসুদপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার নোয়াজ আলী ও পার্শ্ববর্তা মীরপুর গ্রামের মৃত লতিফ বেপারীর ছেলে বর্তমান মেম্বার সবুজ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার ও জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার(১৪ এপ্রিল) সকাল অনুমানিক ৬ টার সময় সবুজ মেম্বার ও তার লোকজন নিয়ে বিরোধ পূর্ণ জমিতে ধান কাটা শুরু করলে এই ঘটনার সংবাদ পাইয়া নোয়াজ আলীর ভাইয়েরা ও তার লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে মৌখিক বাধা দিলে সবুজ মেম্বারের লোকজন নোয়াজ আলী মেম্বারে লোকজনের উপর চড়াও হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এ সংঘর্ষে নোয়াজ আলীর ভাই মৃত আব্দুল করীমের ছেলে আব্দুল জলিল (৭০) নামে এক লোক ঘটনা স্হলেই নিহত হয় এবং উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া, ও/ সি তদন্ত চম্পক দাম, এস আই দেবাশিষ তালুকদার, এস আই শৈলেশ চন্দ্র দাস, এস আই মৃদুল কুমার ভৌমিক, এস আই ফারুক খন্দকার সহ একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে সকাল ৮/ সাড়ে ৮ টায় পৌছে এবং পুলিশ পৌছার আগেই খুন হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রাচার হলে সংঘর্ষ থেমে যায়। ঘটনার গুরুতর আহত আঃ জলিল কে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে দায়ীত্বরত চিকিৎসক আব্দুল জলিল কে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত আব্দুল জলিলের সুরতহাল তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে প্রেরন করা হয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি তদন্ত চম্পক দামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমরা সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছার আগেই খুন হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আমরা মৃত ব্যাক্তিকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়া হবে।