মোঃ মোকাররম হোসাইন
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট জেলার থেকে প্রায় ৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী তেঘর শিব মন্দির।আর এই শিব মন্দিরকে ঘিরেই শিবের সন্তুষ্টির জন্য শিব পূজাকে কেন্দ্র করে চৈত্র সংক্রান্তির শেষ তিথিতে বসে ১০০ বছরের পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী তেঘর মেলা।মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ না জানলেও মেলাটি একশত বছরের পুরোনো মেলা তা শোনা যায়। এলাকার স্থানীয় মানুষদের মুখে।জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে এই ঐতিহাসিক তেঘর মেলা। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসে মেলার আনন্দ উপভোগ ও কেনাকাটা করতে।চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে এবার সাত দিন চলবে এই মেলা। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেলায় ভির জমাতে থাকে হরেক রকমের ব্যবসায়ীরা।মেলায় প্রথম দিন থেকে লক্ষ্য করা যায় দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভীর।মেলার একদিকে যেমন রকমারী মিষ্টান্ন তেমনি অন্য দিকে পাওয়া যায় চুড়ি ফিতা ও প্রসাধনী।
এ মেলায় গ্রামীণ ডাল-মসলা, পাঁচফোড়নসহ বহু পদের মসলার সমাহার দেখা যায়।দোকানিরা থরে থরে সাজিয়ে নিয়ে বসে রং বেরংয়ের মসলা নিয়ে।তেঘর শিব মন্দিরের চারপাশ ঘিরে বসে পোড়া মাটির তৈজসপত্রের দোকানী ও কামাররা।দা,বটি কুড়াল সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খুটিনাটি পাওয়া যায় এই মেলায়। ঐতিহ্যবাহী তেঘর মেলার প্রধান আকর্ষণ সনাতন পদ্ধতিতে চালের আটার তৈরি ঝুরি(কানমুড়ি) ও জিলাপি।শিশু কিশোরদের জন্য রয়েছে নাগর দোলা, চড়কী, বালা খেলা ইত্যাদি।
এসব কিছুর সাথে বৈশাখী বাহারী সাজ মিলে-মিশে ঐতিহাসিক তেঘর মেলা যেনো সকল শ্রেনীর মানুষের এক মিলন মেলা।
মেলায় আশা দর্শনার্থীরা জানান,শতবর্ষী এই মেলা আমাদের প্রাণের মেলা।বাঙালির ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির অংশ হিসেবেই জয়পুরহাটের বুকে বেঁচে রবে চিরায়ত ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী তেঘর মেলা।