মক্কা মদিনা থেকে মাকে নিয়ে ওমরাহ করে ফেরার পথে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে করায় শাজাহানপুর ইউনিয়নে জনগণের মধ্যে তীব্র চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উপজেলার সুরমা গ্রামের হযরত শাহ চাঁন মিয়া চৌধুরী (রহ:) পীর সাহেবের নাতি ও মাজারের পরিচালনা কমিটির সদস্য জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী তার মাকে নিয়ে ওমরাহ করে দেশে ফিরার সময় ২৫ শে এপ্রিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ৪ই এপ্রিল রাত বারোটার দিকে কতিপয় কিছু দূর্বৃত্ত মাজার দখল করে মাজারের খাদিমকে মারধর করে মাজারের দান বাক্স সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ও মাজারের টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে এলাকার মানুষ জড়ো হয়।
এলাকার মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় । পালিয়ে যাবার সময় তারা স্থানীয় কিছু মানুষকে আহত করে এবং টাকা পয়সা লুটতরাজ করে নিয়ে যায় ।
খবর পেয়ে পীর সাহেবের নাতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হন। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উনার বিরুদ্ধে এবং এলাকাবাসী সহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
পরদিন পারভেজ হোসেন চৌধুরী তার মাকে নিয়ে পবিত্র মক্কা মদিনায় ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে চলে যান। মিথ্যা মামলার সকল আসামিরা আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন কিন্তু পারভজ হোসেন চৌধুরী পূর্ব নির্ধারিত ওমরাহর উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে থাকায় জামিন নিতে পারেন নাই।
২৫শে এপ্রিল দেশে ফিরে আদালতে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসার কর্তৃক গ্রেপ্তার হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর শাহজাহানপুর ইউনিয়নের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে চাঁন মিয়া চৌধুরী (রহ:)পীর সাহেবের আরেক নাতি রুহুল আমিন চৌধুরী জানান, আমাদের দূরসম্পর্কের কিছু লোভী আত্মীয় ও স্থানীয় কিছু লোভী লোকজন আমাদের দাদার মাজার দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারা আমাদের বা আমার দাদা চাঁন মিয়া চৌধুরী (রহ:) পীর সাহেবের রক্তের সম্পর্কের কোন আত্মীয় নয়। শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: শাজাহান মিয়া বলেন,” পারভেজ হোসেন চৌধুরী খুবই জনপ্রিয় একজন চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সাড়ে ১১হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভোট। উনার এই তুমুল জনপ্রিয়তাকে খাটো করতে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।