রিভা খাতুন উপজেলার বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী। তিনি উপজেলার দেওগ্রামের মোরশেদুল ইসলামের স্ত্রী।
কেন্দ্র সচিব বলেন, রিভা খাতুনের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশুটির নানিসহ পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রিভা খাতুন বলেন, পরীক্ষা শুরুর দুইদিন পূর্বে (২৮এপ্রিল) আমার বাচ্চা হয়েছে। অনেক্ষণ সময় ধরে পরীক্ষা দিতে হয় তাই বাড়িতে না রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। বাচ্চাকে বাইরে রেখে পরীক্ষা দিতে সমস্যা হওয়ায় আমার মাকে বাচ্চাসহ কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ কোন কক্ষে অবস্থান করার অনুমতির জন্য কেন্দ্র সচিব বরাবর আবেদন করি। পরে অনুমতি সাপেক্ষে আমার মা বাচ্চাকে নিয়ে কেন্দ্রের আলাদা একটি কক্ষে অবস্থান করছে।
ক্ষেতলাল খোশবদন জি.ইউ আলিম মাদরাসার কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ একরামুল হক বলেন, রিভা খাতুন নামের বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার এক পরীক্ষার্থী ২ দিনের শিশু নিয়ে আমাদের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। মেয়েটির প্রতিষ্ঠান সুপারের লিখিত আবেদন ও মানবিক কারণে পরীক্ষার নিয়ম-কানুন মেনে শিশুটির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষেতলাল খোশবদন জি.ইউ আলিম মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার খাযরুইয়ার রহমান বলেন, কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে ঘটনাটি আমি শুনেছি। ২ দিনের শিশুকে রেখে মেয়েটির পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়টি জেনে খুব ভাল লেগেছে।
এটি মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। এ জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।