রোববার (৩জুলাই)সকাল থেকেই উপজেলার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে দেখা যায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়, বৃষ্টির কারণে যানবাহন কম থাকলেও দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফিরে যাওয়া মানুষগুলো দূরপাল্লা ও ছোট ছোট পরিবহন দিয়ে আসছে গোল চত্বরের বাস স্ট্যান্ডে। কেউ রেইনকোট আবার কেউ পলিথিনের কাগজ মাথায় পেচিয়ে হাতে, মাথায় ও কাঁধে ব্যাগ বা বস্তা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ । তবে অনেক কারখানায় ছয় দিন বা এক সপ্তাহও ছুটি দিয়েছে। তাই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এখনো কর্মস্থলে না আসায় সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম।
বগুড়া থেকে আসা মাহমুদা খাতুন বলেন
বলেন, আমি ঢাকায় একটি ক্লিনিকে চাকরি
করি, আমার ছুটি শেষ তাই এই বৃষ্টিতে ভিজে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। সড়কে আসতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে বের হয়েছিলাম। প্রথমে রিকশা, তারপর অটোরিকশা এরপর দু’টি বাসে করে আসতে হয়েছে, দুর্ভোগ তো হয়েছেই। তবে সামনে যখন পোশাক শ্রমিকরা আসতে শুরু করবে তখন আরো বেশি সমস্যা হবে। আমি তো তাও অল্প কষ্টের ভেতরেই আসতে পরেছি। সরকারের উচিত সময় বেধে দিয়ে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে দেয়া। পরিবার নিয়ে ঢাকা ফিরেন রেশমা। তিনি বলেন, ‘আমার ছুটি আরো তিন দিন আছে। জানি না পরিস্থিতি পরে কি হবে। তাই আগে ভাগেই চলে আসলাম। যেন পরে কষ্ট করতে না হয়।
বর্তমান সড়কের পরিস্থিতি জানতে মুঠোফোনে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বদরুল কবির বলেন, সড়কের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো আছে। অল্প সংখ্যক মানুষকে ফিরতে দেখা যাচ্ছে। মোটামুটি যাত্রীর চাপ রয়েছে তবে যানবাহনের চাপ একটু বেশি, তবে মহাসড়কে কোনো যানজট নেই বলেও জানান তিনি।
তারিখ:০৩/০৭/২০২৩