অনলাইন নিউজ :
দেবাঞ্জনা পাল কমু(১৩)।৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এই বালিকা ২০০ অধিক দৃষ্টিনন্দন চিত্রকর্ম অংকন করে এলাকায় শিল্পমনাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনিত হয়েছেন।লাভ করেছেন জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক পদক ও পুরস্কার।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসুরের চপল কৃষ্ণ পালের দ্বিতীয় কন্যা কমু পড়াশোনা করেন উপজেলার সেইন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়ে।স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো সাংস্কৃতিক কিংবা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা হলে সেখানে সে অংশগ্রহন করে বেশিরভাগই সময় সে ১মস্থান অধিকার করে থাকেন।আবহমান বাংলার গ্রাম-প্রকৃতি,জীবনের আনন্দ-বেদনা,জীববৈচিত্র,মুক্তিযোদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও বিভিন্ন মনীষীসহ নানান বিষয়ের প্রতিকৃতি ফুটে উঠছে তার অঙ্কিত চিত্রকর্মে।
তার দক্ষতা ও শিল্পগুণ দেখে এলাকার খুদে বাচ্চারাও তার কাছে ছবি আকা শিখতে আসছে।ছবি আকার উপর চারুলতা নামে একটি কোচিং সেন্টারও ইতোমধ্যে তার পিতার সহায়তায় গড়েছেন তুলেছেন।প্রতি শুক্রবার সেখানে সে ১৫-২০ জন শিশুকে প্রাথমিক পর্যায়ের ছবি আকা শেখায়।
তার পিতা চপল কৃষ্ণ পাল জানান,আমার মা শেফালী পাল অর্থাৎ তার দাদীর কাছ থেকে সে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা পেয়ে ছোটবেলা থেকে তার এ কাজে হাতেখড়ি। সে সেহেতু পড়াশোনায় ক্লাসে প্রথম তাই এসব চিত্রাঙ্গনে আমরা কোন বাধা না দিয়ে বরং উৎসাহ ও সহযোগিতাই করে যাচ্ছি।
শ্রীমঙ্গল শাখার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি: (ইউসিবিএল)এর অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ রাসেল বলেন,ছবি আঁকাতে অসম্ভব দক্ষতা ও পারদর্শিতা রয়েছে মেয়েটির।ইতোমধ্য সে চারুলতা নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে তুলেছে। এক্ষেত্রে নবীন উদ্যোক্তা হিসেবে তার অভিভাবকের সম্মতিক্রমে আমরা যেকোন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান ও জয়নুল আবেদীনের মত সেও দেশ সেরা চিত্রশিল্পী হয়ে চায়।পড়াশুনা করতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে ও বিদেশেও।
কমু আরো জানায়,আর্থিক সংকটের কারণে সে তার নব্যপ্রতিষ্ঠিত চারুলতা একাডেমিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না।এক্ষেত্রে সরকারী প্রনোদনাও প্রত্যাশা করছেন সে।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলার সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা জ্যোতি সিনহা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহেদ আক্তার এই শিশু চিত্র শিল্পীকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।