মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কিতার আলী, মোঃ ফজর আলী, ইব্রাহম পাঠান, খোকন পাঠান, আহাদ পাঠান, আছিয়া খাতুন, সুমি আক্তার, ছোটটু মিয়া পাঠান, সুজন পাঠান, নান্টু পাঠান, টুক্কু মিয়া পাঠান প্রমুখ। বক্তরা বলেন নিহত রাষ্টু মিয়া প্রতিবন্ধি হলেও বিভিন্ন ব্যবসা করে কিছু সম্পদ সঞ্চয় করে।
এতে তার পিতা গুনি মিয়া ও তার ছেলে ছুরুক মিয়া পাঠান, আফজল পাঠান, উজ্জ্বল পাঠান, এমরান পাঠান, হৃদয় পাঠান, বাদল পাঠান, কাজল পাঠান মিলে তার সঞ্চিত সম্পদ ও পিতার প্রাপ্য অংশ আতœসাৎ করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। অপর দিকে উজ্জ্বল পাঠান গংরা এলাকায় দাদন ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে খুুনের মামলাসহ অনেক মামলা মোকদ্দমা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
তাদের বাড়ী পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাধবপুর গ্রামে মাধবপুর-শাহপুর রাস্তার পাশে অবস্থিত। এ রাস্তা দিয়ে মুরাদপুর, হরিশ্যামা, সুন্দাদিল, কুটানিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ রাতে-দিনে চলাচল করে থাকে। প্রায়ই এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিস ছিনতাই করে নিয়ে যেত। কেউ বিচার দিলে তাদের উপর শাররীক অত্যাচার এবং গালিগালাজ করত। ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করত না।
রাষ্টু মিয়া হত্যাকান্ডের ৬ মাস পূর্বে এলাকার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের অত্যাচার নির্যাতনের বিষয়ে একটি মিটিং করেন। এতে তারা আরও বেশী উৎশৃথল হয়ে পড়ে। ২০২০ সালে ১৩ অক্টোম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক গ্রামের মানুষ তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় বসে। সভা শেষে লোকজন তাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অর্তকিতে হামলা করে। জনসাধারন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কৌশলে রাষ্টু মিয়াকে তাদের ভাইয়েরা মিলে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ সময় রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী তাকে বাচাঁনোর চেষ্টা করলে তারা রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানদের মেরে ফেলার হুমক্কি দিয়ে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে প্রতিবাদকারীদের উচিৎ শিক্ষা দেয়ার জন্য আমার উজ্জ্বল পাঠান বাদী হয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের আসামী করে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে।
অপর দিকে রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী মারুফা খাতুন বাদী হয়ে উজ্জ্বল পাঠান, বাদল পাঠানগংদের আসামী করে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে। সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।