শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল এর মধ্যে অন্যতম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম দৈনিক চলমান দেশ ডট কম এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহ বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা সহ স্কুল, কলেজ থেকে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী মহিলা ও পুরুষ গনকে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।  ফোন : ০১৭১৭-৭২৩৭৪২,০১৯১৭-১০২০৮৬। দৈনিক চলমান দেশের সাথে থাকুন পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন। যোগাযোগ : 01717-723742

রংপুরে ২৯ লক্ষ টাকায় বানানো সেতুতে দুই পাশে মাটি ভরাট নেই, চলাচলে দুর্ভোগ–দৈনিক চলমান দেশ

রংপুর জেলা প্রতিনিধি, সঞ্জীব চৌধুরী
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ২১৩ বার পঠিত

 বর্ষায় সেতুটির বেশী অংশ তলিয়ে যায় পানির নিচে। আর শুকনো মৌসুমে মই ছাড়া ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মই ছাড়া উঠতে না পারা এই সেতুর অবস্থান রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকায়। লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে মাটি ভরাট রাস্তা না থাকায় তা কাজে আসছে না।সেতু দিয়ে চলাচল করতে প্রয়োজন হচ্ছে মইয়ের।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামে ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪শত টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি চোখে পড়বে।সেখান থেকে প্রায় ১ কিলােমিটার পশ্চিমে এইচ.আর (হাজেরা-রাজ্জাক) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। ওই বিদ্যালয়ের ১শ গজ উত্তর দিকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।কিন্তু সেতুর দুই পাশে রাস্তা চেনার উপায় নেই।এতে দূর্ভোগে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ প্রায় চার শতাধিক পরিবার।
মই দিয়ে সেতু পার হওয়ার সময় সাথে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান মিয়ার। তিনি বলেন,জানি না এ সেতুটা কেন বানাইছে। উপকার তো দূরের কথা দূর্ভোগের স্থান হয়ে দাড়াইছে সেতুটা।দুপাশে রাস্তা করে দিলেই তো মানসের কাজে লাগতো ভালো কইরা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আফসার আলী বলেন,সেতুর দুপাশে রাস্তা করা প্রয়ােজন। রাস্তা না হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের চরম দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তা না হলে এই সেতু কোনও কাজে আসবে না।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ওই স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।তবে সেতুর দুই পাশে রাস্তায় মাটি কেটে রাস্তাটি দৃশ্যমান করে না তােলায়, যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা দূর্ভোগ হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারী বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেতুর দুপাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হবে।
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মােশফিকুর রহমান বলেন, সেতুর দুই পাশে অবশ্যই রাস্তায় মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে। মাটি না পাওয়ার কারনে সেতুর দুই পাশে ভরাট করা সম্ভব হয়নি।দ্রুত রাস্তায় মাটি দিয়ে চলাচলে উপযুক্ত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
দৈনিক চলমান দেশে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি-সম্পাদক।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com