রবিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয় সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা তাদের রোষানলের শিকার হই। আমাদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি লায়লা বানু বলেন, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু বিগত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ আগস্ট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যানদের অন্তর্বর্তী সরকারের এক নির্বাহী আদেশে অপসারণ করা হয়েছে, যা অমানবিক।’
দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে ৪৯৪টি উপজেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ভেঙে যাওয়াসহ সরকারি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
লায়লা বানু বলেন, ‘অনতিবিলম্বে অপসারণ প্রত্যাহার করে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন আমরা পূর্বে প্রতিটি কর্মসূচি ও তথ্য শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। সরকারের ক্ষতি হোক সেটি আমরা চাই না আর সেজন্যই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।
’হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা আক্তার চৌধুরী বলেন আমি স্বতন্ত্র থেকে প্রায় ৫১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমার তো কোন দলীয় পদ-পদবি নেই। যখন দেখেছিলাম স্বতন্ত্রভাবেও এই পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ আছে তখনই নিজেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কি অপরাধ আমার?