নাছিরনগরে সাংবাদিকের নামে পাচঁটি মামলা। বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড়। নাছিরনগরে হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামে মাটির নৌকায় কাজ নিয়ে একই গ্রামের জুর মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া ও মৃত ইয়াকুব মিয়ার ছেলে শেকুল মিয়ার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শেকুল মিয়ার গোষ্টির অপর দিকে কামাল মিয়ার গোষ্টীর সাথে আর ও তিন গোষ্টীর লোকজন একত্রিত হয়ে পক্ষ নিয়ে একদিকে শেকুলের এক গোষ্টী ও অপর দিকে তিন গোষ্টীর লোকদের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায় এবং উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়।
এলাকাবাসীর কিছু কতিপয় লোকদের উষ্কানীতে মীমাংসার পরিবর্তে মামলায় রূপ নেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একই গ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক,রাজধানী টেলিভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও _দৈনিক_ জনকথা পত্রিকা ও মনিং পোস্টের ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা প্রতিনিধি, রিপোর্টারস ইউনিটি প্রেসের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্য আছকির উদ্দিন খাঁ এর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পাচঁটি মামলায় আসামী করা হয়।
মামলাগুলো হচ্ছে সোহেল মিয়া পিতা কাচা মিয়া বাদি হয়ে নাছিরনগর থানায় জি/আর-১৭০/২৪ নামে ১৮ জন আসামি করে,নূর আলম পিতা বদরুল আলম বাদি হয়ে ৬৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেটের আদালত ব্রাক্ষণবাড়ীয়া মামলা করেন। মৃত মনা মিয়ার ছেলে এনামুল উরপে ছলু মিয়া সি/আর-৬৩০/২৪ সিনিয়র ম্যাজিষ্টেটের আদালতে ৮ জনকে আসামি করে ,নূর আলম পিতা মৃত বদরুল আলম সি,আর ৬৫৭/২৪ ১৬ জনকে আসামী করে মোট পাচঁটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সাংবাদিক আছকির উদ্দিন খাঁ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জুর মিয়ার ছেলে কামাল মিয়ার লোকজন মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে শেকুল মিয়ার বাড়ী ঘর ভাংচুর ও ঝগড়া ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না, শেকুল মিয়ার স্ত্রী সহ আহতরা নাছিরনগর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখান থেকে সাংবাদিকরা এসে সংবাদ পরিবেশন করে আর এই সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে আমাকে,আমার ইউনিভার্সিটি অধ্যয়নরত ছেলে সহ আমার বড় ভাই ও ছোট ভাই সহ পাচঁটি মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে আসামী করা হয়।
আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,আমি সহ আমাদের পরিবারের ও গোষ্টির পুরুষ -মহিলা রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারছে না,হাট বাজারে ও ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারছেন না, প্রতি মুহূর্তে হুমকিতে আছেন। একা পেয়ে তিনটি গোষ্টীর লোকজন একত্রিত হয়ে মারপিট করে যাচ্ছে।
এলাকার চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন আপোষ মীমাংসা করতে আগ্রহী হলে ও ব্যর্থ হন। এ ব্যাপারে আমি নাছিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয় কে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির জন্য দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে থাকেন আমি সারা বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনদের আমি,আমার ছেলে সহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের মিথ্যা মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তীব্র নিন্দা ও সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি। তারি সাথে উপজেলা প্রশাসন ও ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ সবুজের সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন মামলার কপিগুলো পেয়েছেন বলে আমাদেরকে জানান।
তিনি বলেন বিষয়টি নিন্দনীয় ও প্রতিহিংসা মূলক, আছকির উদ্দিন খাঁ একজন সিনিয়র সাংবাদিক,তিনি বস্তনিষ্ট সংবাদ করে থাকেন। এ বিষয় টি জোরালো ভাবে দেখছেন বলে আমাদের কে অবহিত করেন