টুইটার, ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আধিপত্যের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা অশিক্ষিত হবে বল সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটিশ লেখক।
পুরস্কার বিজয়ী লেখক হাওয়ার্ড জেকসন বলেন, স্মার্ট ফোনের ব্যবহার এবং প্রচুর পরিমাণে ফেইসবুক, টুইটার সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয় ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগ পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে।
আর এসব কারণে তারা হারাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাসও। জ্যাকসন বলেন, শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, তিনি নিজেও বইয়ের প্রতি আর তেমন মনোযোগ দিতে পারেন না। কারণ আর মনোযোগের একটা বড় অংশ দখল করে আছে মোবাইল-কম্পিউটার ও স্ক্রীন। তিনি আরো বলেন,আমি আগে যে পরিমাণ বই পড়তে অভ্যস্ত ছিলাম এখন আর পড়তে পারিনা।
আমার মনোযোগ ধরে রাখতে পারিনা, মনোযোগ চলে যায় ইলেকট্রনিক্স সব পর্দার দিকে। সাদা কাগজ চাই, কাগজের উপর আলো চাই। জ্যাকসন আরো বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন শিশুদের পাব যারা পড়তে পারবেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষার মান অনেক কমে গেছে। ১৯৮২ সালের পর গত বছরই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার হার সবচেয়ে কম। গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষ বছরে মাত্র একটি বই পড়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণদের অনলাইনে কাটানো সময়ের হার। ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘন্টা অনলাইনে সময় কাটায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কিশোর বয়সের মধ্যেই একাকিত্বের মাত্রা সবচেয়ে বেশি এবং ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে আসার পর থেকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
আগামী দিনে আমরা কেমন বিশ্ব চাই, কেমন বিশ্ব আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী দিনে আমাদের সন্তানরা কি আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে নাকি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আবির্ভূত হবে। আমাদেরকে এই অপেক্ষায় দিন গুনতে হবে।