হরহামেশাই শোনা যায় কিশোর গ্যাং এর কথা। কেন সামাজিক সংঘাতে জড়াচ্ছে কিশোররা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাবা-মা’র অতিব্যস্ততা সন্তানদের ঠেলে দিচ্ছে অপরাধ জগতে। আর পুলিশ বলছে, তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয় কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ।
কিশোর গ্যাং, গত ক’বছরে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। ছিনতাই, মাদক সেবন, হুমকি বা খুনের মতো অপরাধও ঘটাচ্ছে সংঘবদ্ধ হয়ে। সমাজ বা পরিবারের কোন নিয়ন্ত্রণই যেন কাজে আসছে না।
গ্যাং বিরোধের বলি কামরাঙ্গীরচরে ১৭ বছর বয়সী অপুর মা জানাচ্ছিলেন একমাত্র ছেলে হারানোর যন্ত্রণা। সম্প্রতি তৃতীয় এক পক্ষের ঝগড়া মিমাংসা করতে গিয়ে এলাকার সিনিয়র ও জুনিয়র বিরোধে সিনিয়র গ্যাং এর অপু খুন হয় জুনিয়র গ্যাং এর হাতে।
নিহত অপুর বন্ধু বলেন, ‘ওরা ঢুকতে ছিল আমরাও ঢুকতে ছিলাম। ওদের সাথে আমাদের মুখোমুখি হয়ে যায়। ওদের প্রায় ৩০/৪০ জন ছিল আর আমরা ছিলাম ১০/১২ জন। আমরা গেছিলাম মূলত মারামারি সমাধান করতে।’
কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এমন ৩০ থেকে ৪০টি গ্যাং সক্রিয় বলে জানায় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীদের মধ্যে একজন যুবক বলেন, ‘ঝগড়াটা বেশি তৈরি হয় সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে।’