সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল এর মধ্যে অন্যতম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম দৈনিক চলমান দেশ ডট কম এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহ বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা সহ স্কুল, কলেজ থেকে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী মহিলা ও পুরুষ গনকে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।  ফোন : ০১৭১৭-৭২৩৭৪২,০১৯১৭-১০২০৮৬। দৈনিক চলমান দেশের সাথে থাকুন পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন। যোগাযোগ : 01717-723742

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ চট্টগ্রামকে বদলে দিবে–দৈনিক চলমান দেশ

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি, শাহরিয়ার আলম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৪২ বার পঠিত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে টানেল বা সুড়ঙ্গপথ। দেশের প্রথম টানেল হিসেবে সেই পথ দিয়ে চলবে সব ধরনের যানবাহন। শুনলে মনে হয় রূপকথার গল্প। তবে সেই গল্পকে সত্যি দেখতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরেই চালু হবে সেই স্বপ্নের টানেল।

দেশে প্রথমবারের মতো কোনো নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন এই টানেলের নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। এতে খরচ হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

এ টানেল চালু হলে বদলে যাবে চিরচেনা চট্টগ্রাম। নদী-পাহাড় আর সাগর-মোহনার চট্টগ্রাম পাবে নবরূপ। নদীর ওপারে গড়ে উঠবে আরেক চট্টগ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে। চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি সিটি-টু টাউন।

টানেলের এক মাথা শুরু হয়েছে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমির পাশ থেকে। নদীর তলদেশ দিয়ে তা চলে গেছে আনোয়ারার দিকে। নদীর তলের এই পথের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পুরো পথেই আপনি থাকবেন পানির অনেক নিচে। এখন যে পথ পেরোতে এক ঘণ্টা সময় লাগে, টানেল হলে লাগবে মাত্র পাঁচ মিনিট। এ টানেল ধরে চলে যাওয়া যাবে পর্যটননগরী কক্সবাজার ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর অবধি।

এ ছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। বাঁশখালীতে হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মহেশখালীতে হয়েছে এলএনজি স্টেশন। আনোয়ারায় হচ্ছে বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু টানেল।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এই টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই পুরোদমে চলে প্রকল্পের কাজ।

প্রকল্প পরিচালক হারনুর রশীদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (২০২২ সালের ডিসেম্বর) আমরা এই মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’

যে কারণে টানেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার : টানেল নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সেতু মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছে। এক ভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অপর ভাগে রয়েছে ভারি শিল্প এলাকা।

কর্ণফুলী নদীর ওপর ইতোমধ্যে ৩টি সেতু নির্মিত হয়েছে, যা বিদ্যমান বিপুলসংখ্যক যানবাহনের জন্য যথেষ্ট নয়। নদীর মরফলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতার জন্য বড় হুমকি। এই পলি সমস্যার মোকাবেলায় কর্ণফুলী নদীর ওপর আর কোনো সেতু নির্মাণ না করে এর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এজন্য সরকার জেলার দুই অংশকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই টানেল দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন চলাচল করবে।

সূত্র জানায়, টানেল সাইটে নদীর প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং পানির গভীরতা ৯-১১ মিটার। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার। টানেলের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীন সরকার ব্যয় করছে।

নগরীর পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। টানেলটি হচ্ছে দুটি টিউবে চার লেনবিশিষ্ট। এ ছাড়া টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ রয়েছে। চীনের কমিউনিকেশন এবং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
দৈনিক চলমান দেশে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি-সম্পাদক।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com