হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রাকৃতিক জৈব-বালাইনাশক প্রদ্ধতিতে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যকর চা উৎপাদনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সুরমা চা বাগানে ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেড এর আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উৎপাদন খরচ কমিয়ে সমন্বিত বালাইনাশক ব্যবস্থাপনায় কিভাবে নিরাপদ স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ বান্ধব চা উৎপাদন করা যায় এ নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ চা গবেষনা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডক্টর সৈয়দ নুরুল আলম বলেন, জৈববালাই নাশক প্রদ্ধতিতে চা বাগানে চা উৎপাদন হলে চা বাগানে বেশি পরিমান চাপাতা উৎপাদিত হবে।
এতে ব্যয় কমে স্বাস্থ্যকর চাপাতা ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ করা সম্ভব। সেমিনারে ফিনলে চা কোম্পনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিন এ চৌধুরী বলেন, মহামারী করোনার দূর্যোগকালীন সময়ে দেশে ও বিদেশে ভোক্তা পর্যায়ে চায়ের চাহিদা কমে গেছে জৈববালাইন নাশক প্রদ্ধতিতে চা উৎপাদন করা হলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। সুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আবুল কাসেম বলেন, ২০১৯ সালে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক খাতে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে সমন্বিত বালাইনাশক ব্যবস্থাপনায় ব্যয় কমে দাড়িয়েছে ৪৭ লাখ টাকা। এতে চা উৎপাদন খরচ অনেক সাশ্রয় হয়েছে। এ প্রদ্ধতিতে চা উৎপাদন করায় চাবাগানে পোকামাকড় উপদ্রব কমে গেছে। সেমিনারে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও চা বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহন করেন। পরে সেমিনারে অংশগ্রহনকারীরা প্রাকৃতিক বালাইনাশক প্রদ্ধতিতে সফল সুরমা চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শন করেন