হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়রা শিকলে বাঁধা অবস্থায় তাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন খানের জিম্মায় দেয়। পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাকিলকে (১৮) তার চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রীর ঘরে পেয়ে আটক করে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে তিনি তাদের আটকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
সে অনুযায়ী রাতে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের আবার নির্যাতন করা হয় এবং দুপুরে পুলিশকে না জানিয়ে বাঁধা অবস্থায় তিন কিলোমিটার সড়ক হাঁটিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান শাকিলকে তার বাবা আবুল কালামের জিম্মায় এবং গৃহবধূকে তার চাচা সুলতান মিয়ার জিম্মায় দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান জানান, তার অফিসে শিকলে বাঁধা অবস্থায় ছেলেমেয়েকে আনা হয়নি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ছেলেকে তার বাবার জিম্মায় এবং মেয়ের বাবা না থাকায় তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আবারও সালিশ বসতে পারে।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আলী আশরাফ বলেন, আমি বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, শিকলে বাঁধা দেবর-ভাবির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই গৃহবধূকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই গৃহবধূ জানান, তার স্বামী সম্প্রতি গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই মেয়েকে ঘরে তুলতে এবং তাকে ঘর থেকে বিদায় করতে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চেষ্টা করছে। তিনি তাদের চক্রান্তের শিকার।