হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, সিএনজি, পণ্যবাহী যানবাহন ইত্যাদির জন্য নেই কোন সুনির্দিষ্ট স্টেশন বা টার্মিনাল। বাধ্য হয়েই উপজেলা সদরের পৌরসভার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো থামছে। ফলে বাড়ছে যানযট, দুর্ঘটনাসহ জনদুর্ভোগ।
মাধবপুর-হবিগঞ্জ রোডের বাস চালক মো. মজিদ খাঁন জানান, হবিগঞ্জ থেকে গাড়ি চালিয়ে মাধবপুর আসার পর গাড়ি পার্কিং করার জন্য জায়গা পাই না। তাই রাস্তার মাঝেই গাড়ি পার্কিং করতে হয় এতে করে যাত্রীসহ আমাদের অনেক সমস্যা হয়। রাস্তার পাশেই অনেক সরকারি খাশ জায়গা আছে সেখানে বাস, ট্রাক, সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন রাখার জন্য টার্মিনাল করে দিলে আমরা ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবো।
হবিগঞ্জ মাধবপুর বাইপাস রোডের আরেক বাস চালক বিন্দু দাশ জানান, গাড়ি পার্কিং করার জন্য জায়গা নেই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং করতে হয়। রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসা করছে ফলে রাস্তার পাশেও গাড়ি পার্কিং করতে বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট টার্মিনাল হয়ে গেলে এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হবে।
মাধবপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা হচ্ছে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর ও নাসিরনগর উপজেলা।ফলে প্রতিদিনই উপজেলার উপর দিয়ে উল্লেখিত পার্শ্ববর্তী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনযোগে যাতায়াত করছে। মাধবপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও মাধবপুর থেকে হবিগঞ্জ রোডে প্রতিদিন শত শত লোকাল বাস চলাচল করে। এইসব বাসের জন্য নেই কোন নির্দিষ্ট বাস টার্মিনাল।
মাধবপুর-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া দিগন্ত লোকাল বাস কাউন্টারের সহকারী কেরানী মো. রুবেল খাঁন জানান, টার্মিনাল না থাকার কারনে রাস্তার মাঝেই যাত্রী নিয়ে বাস থামছে ও যাত্রী উঠা নামা করছে। যদি একটা টার্মিনাল থাকতো তাহলে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারতো ও যাত্রী ভোগান্তি কমে যেতো। তাছাড়া ঢাকা ও সিলেটে যাতায়াত করার জন্য মাধবপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার যাত্রীরা দূর পাল্লার গাড়ির জন্য সদর উপজেলাতে আসতে হয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোন বাস স্টেশন বা টার্মিনাল না থাকায় উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেই দূরপাল্লার এইসব বাস সহ লোকাল বাসের যাত্রীরা উঠা নামা করছে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জীবন নাশের ঝুঁকি। কিছুক্ষনপরপরই সৃষ্টি হচ্ছে যানযট।