চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বসতবাড়ির পানি নিষ্কাশনের একটি পাইপ নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে বাঁশখালী পৌরসভার মনছুরিয়া বাজারের পাশে রংগিয়াঘোনা এলাকার সেনায়েত আলী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, আব্দুল খালেক (৩৪) ও সুলতান মাহমুদ টিপু (২৪)। তারা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা। এসময় সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজন হলেন নিহত সুলতান মাহমুদ টিপুর বাবা মো. কামাল উদ্দিন, চাচা মঞ্জুর আলম এবং মো. বাহাদুর। তারা সবাই সম্পর্কে আপন চাচাতো-জ্যাঠাতো ভাই।
এই ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। আটকদের একজনকে নির্দোষ দাবি করে আটকের প্রতিবাদে থানায় এসে বিষপান করেছেন রাসেল ইকবাল নামে এক তরুণ। তিনি আটক মাহমুদ সিদ্দিকের ছেলে। রাসেল ইকবাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
বাঁশখালী থানার (ওসি) কামাল উদ্দীন বলেন, বুধবার দুপুরে রংগিয়াঘোনা এলাকায় নিজেদের বাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের একটি পাইপ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। এ সময় ছুরিকাহত হয়ে আব্দুল খালেক নামে একজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। সুলতান মাহমুদ টিপু নামে অন্য একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এসময় দুই পক্ষের পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়।
ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। তবে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না আপাতত।’
এদিকে আটক একজনকে নির্দোষ দাবি করে ছাত্রলীগ নেতার বিষপান প্রষঙ্গে ওসি বলনে, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তখন আমি সংঘর্ষের স্থানে ছিলাম। পরে সেখান থেকে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে গেছি আমরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার নাথ বলেন, ‘ঘটনার পর গুরুতর আহত পাঁচজন এসেছিলো। এর মধ্যে একজন মৃত ছিল। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া একই ঘটনার জেরে বিকাল ৪টার দিকে বিষপান করা রাসেল ইকবাল নামে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তাকেও গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।