সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমায় সুরমা নদীর পাড়ে ৩.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে ২৬.৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ‘শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’র উদ্বোধন করেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় দক্ষিণ সুরমায় নির্মিত ‘শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রথম একটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করায় সিসিককে ধন্যবাদ।
এটিকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে বিশ্ববরেণ্য নেতা শেখ হাসিনার নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান করতে চায় সিলেটবাসী।
এর আগে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ অতিথিদের নিয়ে শেখ হাসিনা শিশু পার্কের নামফলক উন্মোচন করেন।
কাউন্সিলর আজম খানের সঞ্চালনায় পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বক্স।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মফিজুর উদ্দিন আহমদ, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা বেগম।
উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, কাউন্সিলর এ এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর রাশেদ তালুকদার, কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর এ বি এম উজ্জ্বল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সালমা সুলতানা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কণা, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ ও দক্ষিণ সুরমা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পার্কটিতে শিশুদের বিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৯টি অত্যাধুনিক রাইড। এর মধ্যে ১৮টি আসন বিশিষ্ট ‘মেরি গো রাউন্ড’, জাম্প ফ্রগে রয়েছে ৬টি আসন, ২৬ জন যাত্রী নিয়ে নদীর তীর ঘুরে পার্কের ট্রেন স্টেশনে আসবে ‘ভিজিটিং ট্রেইন, এক সাথে ১৬ জন শিশু উপভোগ করতে পারবে ‘টুইষ্টার’, পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান বুটে রয়েছে ২৪ টি আসন, বাম্পার কারে ৫ জন, আধুনিক মনো রেলে একসাথে ৪২ জন শিশু ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়া ম্যাজিক প্যারাসুটে ১৮ জন ও হানি সুইংয়ে একা সাথে ১৬ জন উপভোগের সুযোগ পাবেন। পার্কটিতে ২ ভবন, আভ্যন্তরীণ সড়ক, নদীর তীরে ওয়াকওয়ে ও ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।