বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের নুরুল হক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কঠিন কাজ কঠিনভাবে করেন। সম্প্রতি একজন প্রতিমন্ত্রী অন্যায় করেছিলেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনো সময় ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। দ্রুত তিনি অ্যাকশন নিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু অ্যাকশন আছে প্রধানমন্ত্রী চাইলেও নিতে পারবেন না। সংসদ সদস্য পদ থেকে প্রধানমন্ত্রী চাইলেও বাদ দিতে পারবেন না কারণ ওই প্রতিমন্ত্রী আইনদ্বারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আইনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে কঠিন হতে পারেন।
ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অডিও ফাঁস হয়ে আলোচনা-সমালোচনার কারণে পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে কানাডায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন তিনি।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) তিনি এ টিকিট কাটেন বলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন মঙ্গলবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যসংবলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায়।
ওই ভিডিওতে মুরাদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হল ও শামসুন নাহার হলের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এরই মধ্যে রোববার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। পরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।