কোভিড -১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পরই বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
দীর্ঘ দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। বিশেষে করে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে।
ছেড়ে দিয়েছেন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের আশা। অবশেষে বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বুধবার থেকেই নিজেদের দ্বার উন্মুক্ত করলো দেশটি। তবে যারা করোনারোধী টিকা নিয়েছেন তাদের জন্যই এ সুখবর।
চলমান মহামারিতে সবচেয়ে বেশি লকডাউন জারি রেখেছে দেশটি। এখন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর দেওয়া বিধিনিষেধ থেকেও সরে এসেছে দেশটি।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। কারণ ওমিক্রনের ধরন ও গতি প্রকৃতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যর জন্য অপেক্ষা করছিল তারা।
তবে করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে ওমিক্রনের হালকা লক্ষণ থাকায় সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি। সীমান্ত উন্মুক্ত করার দিনে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, আমরা ভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করতে যাচ্ছি। আমরা কোনোভাবেই আগের অবস্থানে ফিরে যাবো না। আমরা আত্মসমর্পণ করবো না। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করবো।
২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশটির সীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দুয়ার খোলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু দেশটিতে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সে পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কবে যেতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। মহামারির আগে অস্ট্রেলিয়া ছিল শিক্ষার জন্য বিশ্বের তৃতীয়-জনপ্রিয় গন্তব্য। ২০১৯ সালে দেশটির শিক্ষাখাত অর্থনীতিতে ৩৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার অবদান রেখেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সব কিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ১৬ বছরের বেশি বয়সী ৯০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিয়েছে। ওমিক্রন শনাক্তের পর বুস্টার ডোজের জন্য সময় কমিয়ে এনেছে দেশটি। আল-জাজিরা।