কক্সবাজারে সুযোগ বুঝে পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম হাঁকছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শুধু হোটেল-মোটেলেই নয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে পরিবহণ এবং রেঁস্তোরায়ও।
সরকারি তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। এই সুযোগেই শহরের অটো বাইক, রিক্সাচালক ও রেঁস্তোরা সহ সবখানেই চলছে এমন বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকাশ্যে হোটেল মোটেল গুলোতে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তারা। আগে যে রুম ভাড়া ছিলো ১ থেকে ২ হাজার টাকা, তা বাড়িয়ে এক লাফে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে শহরের কলাতলী মোড় থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত ইজিবাইক ও রিক্সা ভাড়া জনপ্রতি ছিলো ৫ থেকে ১০ টাকা। আর কেউ যদি রিজার্ভ করে আসে তাহলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কিন্তু, রিক্সা ও ইজিবাইক চালকরা এখন আদায় করছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাসেম।
তিনি বলেন, “ভরা মৌসুমে হোটেলের রুম ভাড়া একটু বেশিই হয়। তবে যে হোটেল মালিক মাত্রারিক্ত ভাড়া আদায় করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করবো। এছাড়াও খাবারের রেষ্টুরেন্টগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি দাম নিচ্ছে। এতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জানাবো।”
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান বলেন, ‘‘আগত পর্যটকদের হয়রানি করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করি, পর্যটকরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার সৈকত ও অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো উপভোগ করতে পারবেন। এজন্য কাজ করছে আমাদের একাধিক টিম।’’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে টানা তিনদিনের ছুটিতে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক এখন কক্সবাজার অবস্থান করছেন।