পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীর মৃত্যুর সাথে সাথে শামীম জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্বামী বাচ্চু মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস ছিলো। গতকাল রাতের খাবার খেয়ে স্বামী স্ত্রী উভয়েই শুয়ে পড়েন। আজ বিকেল পর্যন্ত তারা ঘুম থেকে জেগে না ওঠায় পরিবারের লোকজন ঘরের বেড়ায় উঁকি দিয়ে দেখেন বাচ্চুর মিয়ার ঝুলন্ত লাশ ও রুমের এক কোনে স্বাধীন আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে।
বিষয়টি ধর্মপাশা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করে।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাচ্চু ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বাধীনকে খুন করার পর আত্মহনন করে। আগামীকাল ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ গুলো সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।