কোভিড_১৯ সরকারের দেয়া লকডাউন কে যেন ছুটিতে পাঠাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। টানা ১৯ দিনের সরকারি বিধিনিষেধের কর্মসূচি আজ শেষ হচ্ছে। লকডাউন শিথিল হওয়ার ঘোষণা শুনে অনেক জায়গা ঘুরে দেখা যাচ্ছে লকডাউন এর তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা শুরু করে দিয়েছে।
কোন কোন জায়গায় সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে অবাধে চলাফেরা করতে দেখা যায় সেখানে মাক্স পরার কোন বালাই ছিল না। দেখে মনে হচ্ছিল লোকজন লকডাউনকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।
অবশেষে, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১১(আগস্ট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি/বেসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।
গত ৩(আগস্ট) অনুষ্ঠিত কভিড-১৯ সংক্রমনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ বহাল রাখার কথা বলা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/চলাচল করতে পারবে, শপিং মল/মার্কেট/দোকান সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে, সব ধরনের শিল্প কারখানা চালু থাকবে, খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি দেখে খোলা রাখা যাবে, সর্বোপরি মাক্স পড়াসহ মার্কেট ও বাজারগুলো সহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্যবিধি পরিলক্ষিত না হলে কিংবা গাফিলতির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মূলত: ১লা(জুলাই) থেকে বিধিনিষেধ শুরু হলেও ধাপে ধাপে কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। আগামীকাল থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে জনমনে প্রশান্তি ফিরে এসেছি।