সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি ওষুধের দোকান থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের আবদুল মতিন মার্কেটের অভি ফার্মেসির ভেতর থেকে শাহানাজ পারভীন (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের আবদুল মতিন মার্কেটের অভি ফার্মেসির ভেতর থেকে শাহানাজ পারভীন (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে তা ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
শাহানাজ পারভীনের স্বামী ছুরুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী। ছুরুক মিয়ার গ্রামের বাড়ি উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামে। আর ওই নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে।
শাহানাজ জগন্নাথপুর পৌরসভার পেছনের কলোনিতে ছেলেমেয়ে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতেন। পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বিকেলে ওষুধ কেনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহানাজ। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে না পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে ফার্মেসির মালিকের বাসায় খোঁজ করে জানতে পারেন, তিনি পরিবার–পরিজন নিয়ে ভোরে পালিয়েছেন।
আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ অভি ফার্মেসির তালা ভেঙে ভেতরে বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো শাহানাজের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপ পলাতক।
তিনি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। ১০ বছর ধরে জগন্নাথপুর বাজারে ওষুধের দোকানে চাকরি করেন। এক বছর ধরে ওই মার্কেটে নিজে অভি ফার্মেসি খুলে ব্যবসা শুরু করেন। নিহত নারীর ভাই হেলাল মিয়া বলেন, বোনের এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁরা বাক্রুদ্ধ। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।