হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবারও নার্সদের অবহেলার কারণে প্রসুতি নারী ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।এ নিয়ে হাসপাতালে তোলাকালাম কা- হয়েছে।
ঘটনার পর নার্সরা সটকে পড়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। বানিয়াচং উপজেলার গুনই গ্রামের হাফেজ শাহ ফুজায়েল জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী তার বোন ৩ সন্তানের জননী সুমেনা আক্তার (৩০) প্রসব ব্যথা নিয়ে সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
ভর্তি হয়ে বেডে যন্ত্রনায় কাতরালেও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স প্রীতি আচার্য্য, সুষমা বিশ্বাস, পলি বৈদ্য, সবিতা দাশসহ কয়েকজন আয়া গল্প গুজবে ব্যস্ত থাকেন।বারবার তাদেরকে অনুরোধ করলেও তার বোনকে চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেননি।তার অবস্থার অবনতি দেখে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হন।
এ সময় তারা সুমেনাকে ডেলিভারী রোমে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নার্সরা বলেন, তার বোন ও নবজাতক মারা গেছে। এতে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তখন স্বজনদের সাথে নার্স ও আয়াদের বাক-বিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়।
হাসপাতালে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে অভিযুক্ত নার্সরা সটকে পড়েন। তাদের অভিযোগ, নার্সদের অবহেলার কারণেই সুমেনা মারা গেছে। দাফন শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি আমি জানি না। আজ বুধবার অফিসে গিয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।