সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন বিহারের এক মুসলিম পরিবার। বিশ্বের ‘বৃহত্তম মন্দির’ নির্মাণের জন্য নিজেদের আড়াই কোটি মূল্যের জমি দান করলেন তাঁরা।
সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে ভারত বহু বার। কিন্তু এবার অন্য ছবি দেখলেন দেশটির নাগরিকরা। বিহারের এক মুসলিম পরিবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য ২.৫ কোটি রুপি মূল্যের জমি দান করেছে।
পূর্ব চম্পারণের কাইঠোয়ালি অঞ্চলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির বিরাট রামায়ণ মন্দির তৈরি হচ্ছে। আর সেই মন্দির তৈরির জন্য জমি দিলেন এক মুসলিম পরিবার। ইহা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে দেশজুড়ে। ইশতিয়াক আহমেদ খান এই জমিটি দান করেছেন। তিনি পূর্ব চম্পারণের একজন ব্যবসায়ী বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
সাবেক আইপিএস অফিসার তথা পাটনার মহাবীর মন্দির ট্রাস্টের প্রধান আচার্য কিশোর কুণাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘তিনি (ইশতিয়াক আহমেদ খান) সম্প্রতি কেশরিয়া মহকুমার (পূর্ব চম্পারণ) রেজিস্ট্রার অফিসে মন্দির নির্মাণের জন্য তার পরিবারের জমি দান সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম সম্পন্ন করেছেন।’
এই মহাবীর মন্দির ট্রাস্টই মন্দির নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছে। আচার্য জানিয়েছেন যে, খান এবং তার পরিবারের এই অনুদান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। মুসলমানদের সাহায্য ছাড়া স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন হতো।
উল্লেখ্য, এই মন্দির নির্মাণের জন্য মহাবীর মন্দির ট্রাস্ট এখনও পর্যন্ত ১২৫ একর জমি পেয়েছে। আরও ২৫ একর জমি পাবে বলে জানা গেছে। বিরাট রামায়ণ মন্দির কম্বোডিয়ার বিশ্ববিখ্যাত ১২ শতকের আঙ্কোরভাট কমপ্লেক্সের চেয়েও লম্বা হবে যা ২১৫ ফুট উঁচু। পূর্ব চম্পারণের কমপ্লেক্সে ১৮টি মন্দির থাকবে। এ শিব মন্দিরে বিশ্বের বৃহত্তম শিবলিঙ্গ থাকবে। এই মন্দির নির্মাণে মোট খরচ পড়বে প্রায় ৫০০ কোটি রুপি।