নিহত যুবকের নাম মো. খোকন মিয়া(১৮)। সে একই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ মিয়ার একমাত্র ছেলে। বুধবার দুপুর সোয়া ১টার সময় পালইছড়া হাওরে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজনও গ্রামবাসি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগটি বন্ধ করে যুবকটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাংলাবাজারের পল্লীচিকিৎসক ডা.কাজি শাহজাহান মিয়ার নিকট নিয়ে যাওয়ার পরযুবকটি মৃতু ঘোষনা করেন। যুবকটি মৃত্যুর সংবাদে বাড়িতে এক হৃদয়বিধারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা, পাইলছড়া গ্রামের হাজী কমর মিয়ার ছেলে মো. ঝিনুক মিয়া মূলত স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে হাওরে মোটর চালিত পানির পাম্পের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে হাওরে কৃষকদের জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছিলেন। নিহত যুবক (কৃষক)খোকন মিয়া ও টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ দ্বারা মোটর চালিত পাম্পের মালিক ঝিনুক মিয়ার নিকট হতে পানির পাম্প দিয়ে তাদের জমিতে সেচ দেয়ার সময় মোটর চালু করতে গিয়েই যুবকটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাংলাবাজারে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে পাইলছড়া গ্রামের অবৈধ মোটর চালিত পাম্পের মালিক মো. ঝিনুক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবৈধ সংযোগের কথা স্বীকার করে জানান,স্থানীয় দোয়ারাবাজারের বিদ্যুৎ অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই মূলত তিনি হাওরে কৃষকদের জমিতে টাকার বিনিময়ে পানি সেচ দিয়ে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লাইন শ্রমিক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান,পাইলছড়া হাওরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে যুবকটি মারা গেছে তিনি জানেন না। কিভাবে ঝিনুক মিয়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে হাওরে টাকার বিনিময়ে কৃষকদের জমিতে সেচ দিচ্ছে এমন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে লাইনটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।